রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ৮৪০ জন

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষ, নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় হওয়া ২৯ মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আরও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলায় গ্রেপ্তার ২৭ এবং নগরে ৪১ জন, যাঁদের বেশির ভাগই বিএনপির নেতা–কর্মী। এ নিয়ে নগর ও জেলায় গত ১০ দিনে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা ৮৪০ জন।

নতুন মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং অঞ্চল) সব্যসাচী মজমুদার প্রথম আলোকে বলেন, গত বুধবার রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট—কদমতলী ডিটি রোড এলাকায় নাশকতার উদ্দেশ্যে বিএনপি–জামায়াতের লোকজন জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়।

এ ছাড়া আজ শুক্রবার চট্টগ্রামে নতুন আরেকটি মামলা হয়েছে। নগরের ডবলমুরিং থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৪০ জনকে আসামি করা হয়। নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে বেশির ভাগ বিএনপি–জামায়াতের নেতা–কর্মী। এই নিয়ে নগরে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ১৮।

 

নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী প্রথম আলোকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা—কর্মীরা জড়িত না থাকলেও পুলিশ রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে তাঁদের গ্রেপ্তার করছে। অথচ যাঁরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না।

 

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বলেন, পুলিশ রাজনৈতিক পরিচয় দেখে কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না। প্রকৃত অপরাধী যাঁরা ঘটনায় জড়িত, শুধু তাঁদের গ্রেপ্তার করছে।

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ—ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ১৬ জুলাই বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে তিনজন নিহত হন। তাঁরা হলেন মো. ফারুক (৩২), ফয়সাল আহমেদ (২০) ও মো. ওয়াসিম (২২)। ওয়াসিম ছুরিকাঘাতে বাকি দুজন গুলিতে মারা যান। ফারুক আসবাবের দোকানের কর্মচারী, ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র, কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফয়সাল আহমেদ নগরের ওমর গণি এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া আহত হন প্রায় ৫০ জন। পরদিন ১৭ জুলাই বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে তানভীর আহমেদ নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও মো. সাইমন নামের এক মুদিদোকান কর্মচারী গুলিতে নিহত হন। এ ছাড়া পুলিশ বক্স ও নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, ওপর থেকে পাথর ছুড়ে মারায় ছাদ থেকে নামতে গিয়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় নগরের বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা হয়। আর জেলায় হয় জেলায় হয় ১১টি।

উল্লেখ্য, নগর ও জেলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত হওয়ার ঘটনায় ২৯ মামলায় আসামি করা হয় ৩৭ হাজার ৬০০ জনকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com